লাল !
আমার পছন্দ,
আমার প্রিয়, আমার প্রেম,
আমার কথা, কবিতা, ছন্দ!
মুগ্ধ হলেম,
আমি প্রেমে পড়লেম_
অগ্নিরং, রক্তরং,
মৃত্যুসং, নৃত্যঢং_
কঙ্কালের।
লাল সুমুখে,
লাল চুমুকে,
হাসলাম বরং
অট্টহাসি,
বড্ড বেশি
অহঙ্কারের।
ফাগুন এলো, আগুন এলো;
শিমুল গাছের ফুল,
লাল প্রেয়সীর চিঠি দিলো;
করলেম সে প্রেম কবুল:
লালকুমারীর মনের ভাষা, চোখের আশা,
ঠোঁটের দিঠি, কণ্ঠের মিঠি, মাত্রার চিঠি_
জাগিয়ে দিলো ভালোবাসা!
লালের নেশায় নিলাম ছুটি,
আমরা ক’ভাই পিঠাপিঠি!
(সে প্রেমে) লালের আগুন জ্বলল দ্বিগুণ,
দেখলাম যখন নিজের ভাইয়ের লাল;
নিজকে করলাম খুন;
সে যে ছিল ৮ই ফাল্গুন!
ঊনিশশত বাহান্ন ছিল তেরশত আটান্ন;
ঊনিশশত একাত্তর ছিল তেরশত আটাত্তর;
মার্চ, এপ্রিল, জুন, জুলাই, আগস্ট, ডিসেম্বর
লাল রংয়ে সেসব: চৈত্র, শ্রাবণ, পৌষ, আষাঢ়
লালের জন্য দিলেম লাল,
লাল দিয়েই লিখ মহাকাল!
লাল আমার বাংলা ভাষা,
লাল আমার বাংলাদেশ,
লাল আমার পতাকা, পরিচয়, ভালোবাসা;
লাল আমার মা, আমার মায়ের আদেশ!
বাংলার জন্য হলেম লাল,
বাংলায়ই লিখ মহাকাল!
রচনার প্রেক্ষাপট
কবিতাটি লিখতে আমায় ধারণাগত বিষয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কৃতি কবি আসাদুল্লাহ মুক্তা কাকা। কবিতাটি সামান্য সম্পাদনার কাজও করেছেন তিনি। ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ৮ই ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাঙালির শহীদ দিবসে এই কবিতাটি মুক্তা কাকার উল্লাপাড়ার বাসায় রচিত হয়। পরের বছর গৌড়ীয় সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত শিখা সনাতনের প্রথম সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়।