হে কবি,
আর কবিতা নয়-
যুদ্ধে এসো,
বিপন্ন মানবতার আর্ত চিৎকারে
যে কবিতা শুধু হাহাকার বৃদ্ধি করে,
সে কবিতার দরকার
আজ আর নেই।
হে নারী,
বন্ধ করো তোমার কান্নার রোল-
তুমি মানুষ, ভূ-তলের কাণ্ডারী,
তোল উল্লাস-উদ্যোম-হিল্লোল;
অস্ত্র লও,
যুদ্ধে এসো;
মানবাধিকার যে রণে ভূলুন্ঠিত,
সেই রণে যুদ্ধে এসো;
যে কর্মে পৃথিবী প্রকম্পিত,
আর যে ধর্মে ভবিষ্যৎ শঙ্কিত,
তার প্রতিরোধ প্রত্যয়ে,
সুসজ্জিত হয়ে
যুদ্ধে এসো।
প্রকৃতির যে ধর্মের জন্য
মানুষ আর পশুপাখি
আজ ঘরছাড়া, স্বজনহারা, বিপদাপন্ন;
প্রাণের মায়া ঊর্দ্ধে রাখি
যেসব প্রাণ আজ ছুটছে সংশয়ে
অথবা আছে গুটিসুটি হয়ে
চোখ বুজে অথবা চিৎকার করে;
তাদের প্রতিবিধান- প্রতিকারে
এগিয়ে এসো,
যুদ্ধে এসো।
হে পুরুষ,
যুদ্ধে এসো।
তোমার রণক্ষমতা দেখবার হাউস
নগ্ন করে প্রকৃতি আজ উদগ্রীব!
বের করো জিভ
নাশকারীকে নাশো।
ভূমিকম্প, সাইক্লোন,
বন্যা, মহামারী,
আর ভল্কানিক ইরাপশন
তোমাকে দিচ্ছে আঁড়ি,
হাত উঁচু করে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে।
জন্তু, হায়েনারা শেখাচ্ছে
কী করে শুধুমাত্র
শত্রুর বিরুদ্ধেই লড়তে হয়।
স্বজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ কাপুরুষত্ব-
বীরত্ব নয়, সভ্যতা নয়, শ্লীলতা নয়;
মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধ শোভনীয় নয়।
স্রষ্টা তাদের প্রতি রুক্ষ,
চায় যারা স্বজাতির দুর্ভোগ।
মানুষের প্রতিপক্ষ
শুধুমাত্র দুর্যোগ।