আইবিআরআর সম্পর্কে

ইনিশিয়েটিভস ফর বাংলাদেশ রিফর্ম রিসাস (আই.বি.আর.আর)-এর গঠনতন্ত্র

প্রস্তাবনা

বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী বিষয়Ñযেমন, সংবিধান, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, শিক্ষা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জনগণের নৈতিকতা গঠন, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ, দুর্যোগ, প্রভৃতিÑ অধ্যয়ন করিয়া জনগণের জন্য কল্যাণকর বিভিন্ন উদ্ভাবণী উপায় অনুসন্ধান, উপায়সমূহের উপযোগিতা যাচাই, জনমত যাচাই প্রভৃতি গবেষণামূলক কর্মকাÐের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিভিন্ন পথ-পদ্ধতি সম্বলিত নীতিপত্র, গবেষণাপত্র ও বিবিধ প্রকারের পুস্তকাদি রচনা, প্রকাশনা ও প্রচারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে উত্তরোত্তরভাবে অধিক কার্যকর, অধিক জনকল্যাণকর ও অধিক গণমুখী করিবার প্রচেষ্টার নিমিত্তে একটি নির্দলীয় অবস্থান থেকে সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, প্রশাসক, আইন-শৃঙ্খলা কর্মকর্তা, ডাক্তার, উন্নয়নকর্মী, প্রভৃতি নানা-শ্রেণিপেশার মানুষের সমন্বয়ে একটি ‘অরাজনৈতিক উদ্যোগ’ হিসেবে আমরা আমরা নি¤œস্বাক্ষরকারী ব্যক্তিবর্গ স্ব-প্রণোদিত হইয়া জাতির একটি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকেন্দ্র হিসেবে ‘ইনিশিয়েটিভস ফর বাংলাদেশ রিফর্ম রিসাস (আই.বি.আর.আর)’ প্রতিষ্ঠা করিলাম।

ভাগ ১: পরিচিতি

১। পরিচিতি: ইনিশিয়েটিভস ফর বাংলাদেশ রিফর্ম রিসার্স (আই.বি.আর.আর.) একটি নির্দলীয়, স্বেচ্ছাসেবা-নির্ভর গবেষণা উদ্যোগ।
২। রূপকল্প, উদ্দেশ্য, অভীষ্ট ও লক্ষ্যমাত্রা: 
(১) রূপকল্প: সকলের জন্য নিরাপদ, টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ২.০ ।
(২) উদ্দেশ্যাবলি
(ক) রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে সংস্কারের জন্য কিছু গবেষণাপ্রসূত, দল-নিরপেক্ষ, তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ নীতিপত্র প্রস্তত করা।  এবং সরকারকে সরবরাহ করা। এতদ উদ্দেশ্যে গবেষণাপত্র ও গ্রন্থাদি রচনা ও প্রকাশনা।
(খ) যুগ যুগ ধরে যেন রাষ্ট্রীয় সংস্কারপ্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে তার লক্ষ্যে একটি স্থায়ী, নির্ভরযোগ্য জাতীয় সংস্কার গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য প্রচেষ্টা করা।
(গ) আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতিটি সংগ্রামের (যেমনÑ ১৮৫৭, ১৯৪৭, ১৯৭১, ২০২৪ প্রভৃতি) ইতিহাস ও আদর্শ সংরক্ষণ ও এতদ-সংক্রান্ত সাহিত্য ও শিল্পকর্ম প্রস্তুতকরণ, প্রকাশনা ও প্রচারণা।
(৩) অভীষ্ট্য ও লক্ষ্যমাত্রা: রূপকল্প ও উদ্দেশ্যাবলির সাথে সংগতি রেখে পর্যায়ভিত্তিক মহাপরিকল্পনায় পৃথক পৃথক অভীষ্ট ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারক।
৩। উদ্যোগের প্রতীক, লোগো, মোটো ও ¯েøাগান:
(১) প্রতীক: আই.বি.আর.আর-এর প্রতীক হইতেছে উভয়পার্শ্বে তেঁতুলপত্রবিশিষ্ট সুনীল স্থলের উপর সাদা খাতায় লাল-সবুজ কলম; তাহার উপরে ইংরেজি বড় হরফে ওইজজ লেখা, তাহার উপর ‘অথবা’ চিহ্ন।
(২) লোগো:
(৩) মোটো: গবেষণা, সংস্কার, স্থিতিস্থাপকতা (জবংবধৎপয, জবভড়ৎস, জবংরষরবহপব)
(৪) ¯েøাগান: এই রাষ্ট্রের দাস নইÑ সদস্য আমি সত্য, প্রজাতন্ত্রে কেউ নয় রাজা কেউ নয় ভৃত্য।
           দলের চেয়ে মতের চেয়ে আগে যে তোমার দেশ, সম্মিলিত সংগ্রামে এবার রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ
ভাগ ২: সাংগাঠনিক কাঠামো
৪। সাংগাঠনিক কাঠামো: চারটি পরিষদ এবং উদ্যোগের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক গবেষণা টিম লইয়া আই.বি.আর.আর গঠিত হইবে। পরিষদগুলো হচ্ছেÑ
(ক) সাধারণ পরিষদ
(খ) পরিচালনা পরিষদ
(গ) অভিভাবক পরিষদ
(ঘ) পরামর্শক পরিষদ
৫। সাধারণ পরিষদ-এর গঠন ও কার্যাবলি:
(১) গঠন: আই.বি.আর.আর-এর সকল ক্রিয়াশীল সদস্যগণকে লইয়া সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে। সাধারণ পরিষদের সদস্য বলিয়া চ‚ড়ান্তভাবে বিবেচিত বা অনুমোদিত সদস্যদিরে মধ্য হইতে নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য লইয়া পরিচালনা পরিষদ, অভিভাবক পরিষদ এবং পরামর্শক পরিষদ গঠিত হইবে। কোনো সদস্যকে অব্যাহতি দান, বরখাস্ত, বা সদস্যপদ স্থগিত করা হলে যেই দিবস হইতে উহা কার্যকর হইবে উক্ত দিবস হইতে তিনি সাধারণ পরিষদের সদস্যতা হারাবেন। সাধারণ পরিষদের সকল সদস্যের ভোটে এই পরিষদের একজন সভাপতি/সাধারণ পরিষদ প্রতিনিধি নির্বাচিত হইবে।
(২) কার্যাবলি:
(ক) উদ্যোগের গঠনতন্ত্র অনুমোদন ও সংশোধন।
(খ) পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন ও অভিসংশন।
(গ) অন্যান্য পরিষদ ও বিভিন্ন গবেষণা টিম-এ অংশগ্রহণ।
(ঘ) বিভিন্ন গুরুত্ব নির্বাচনে অংশগ্রহণ।
৬। নির্বাহী পরিষদ/ব্যবস্থাপনা পরিষদ/ পরিচালনা পরিষদ-এর গঠন, নির্বাচন ও কার্যাবলি:
(১) গঠন: সাধারণ পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদের সদস্যগণের মধ্য হইতে অন্যূন ৫জন সদস্য লইয়া পরিচালনা পরিষদ গঠিত হইবে। ইহার মধ্যে মধ্যে কমপক্ষে ২জন নারী সদস্য অন্তভর্‚ক্ত হইবেন। পরিচালনা পরিষদের সদস্যগণের মধ্য হইতে অভিভাবক পরিষদ একজন মুখ্য পরিচালক/ মুখ্য নির্বাহী স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ জন সহযোগী মুখ্য নির্বাহী স্বেচ্ছাসেবককে নির্বাচিত করবেন। সহযোগী মুখ্য নির্বাহী স্বেচ্ছাসেবকদ্বয়ের মধ্যে অন্তত একজন নারী হইবেন।
(২) যোগ্যতা:
(ক) ৯ অনুচ্ছেদে বর্ণিত সাধারণ সদস্য হবার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসমূহ।
(খ) কোনো রাজনৈতিক দলে ক্রিয়াশীল কোনো পদে অধিষ্ঠিত নন।
(গ) নৈতিকতার স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দÐিত বা অভিযুক্ত নন; তবে কোনো ব্যক্তি পরিচালনা পরিষদের সদস্য থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নৈতিকতার স্থলনজনিত কোনো অপরাধের অভিযোগ আসলে উক্ত অভিযোগ হইতে তাহার খালাস পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পরিচালনা পরিষদে তাহার সদস্যপদ স্থগিত অথবা সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব দ্বারা তাহার অভিযুক্ত ব্যক্তির কর্মকাÐ সীমিত করা যাইবে।
(ঘ) পরিচালনা পরিষদের কোনো সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালনকালে তহবিল তছরুপ, আই.বি.আর.আর-এর কোনো কাজে নিরপেক্ষতার খেলাপ বা দুর্নীতির অভিযোগে (অত্র গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী) দÐপ্রাপ্ত হইয়া, বা অন্য কোনো কারণে অভিভাবক পরিষদ কর্তৃক ‘অনুপযুক্ত’ ঘোষিত নন।
(৩) মেয়াদ: পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ এক বছর।
(৪) নির্বাচন: প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে অভিভাবক পরিষদ কর্তৃক একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হইবে। উক্ত নির্বাচন কমিশনের নিকট পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণ ই-মেইলে আগ্রহপত্র প্রদান করিবেন। তারপর অভিভাবক পরিষদ প্রার্থীদের প্রার্থীতা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই পূর্বক প্রার্থীদেরকে মনোনীত করিবেন। অতপর, গোপণ ভোটে (অনলাইন/অফলাইন) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। নির্বাচনে জয়ী ব্যক্তিগণ নির্বাচন কমিশনার নিকট হতে শপথ পাঠ করিবেন (তফসিল ১)।
(৫) উপ-নির্বাচন: কার্যকরী কোনো সদস্য নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে অপসারিত বা অভিশংসিত হলে ৬(৩)দফা অনুযায়ী উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
(৬) জরুরি অবস্থা: নির্বাচন ও উপনির্বাচনের আগে উদ্যোগের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা কোনো ব্যক্তি/ ব্যক্তিবর্গকে অভিভাবক পরিষদ সর্বোচ্চ ৩ মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পদে মনোনীত করতে পারেন।
(৭) কার্যাবলি:
(ক) বিভিন্ন গবেষণা টিম গঠন ও তদারকি: পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সভায় আলোচনা করিয়া বিভিন্ন গবেষণা টিম গঠিত হইবে। প্রতিটি টিম পরিচালনা পরিষদের অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ অনুমোদনক্রমে চ‚ড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে। কোনো টিম হইতে কোনো ব্যক্তিতে অপসারণ বা অব্যাহতির ক্ষেত্রে পরিচালনা পরিষদের অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।
(খ) পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কর্মসূচিগ্রহণ: অত্র গঠনতন্ত্রের ১৬ অনুচ্ছেদের নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
(গ) সংগঠনের রাজস্ব সংগ্রহ, তহবিল সংরক্ষণ, ব্যয় নির্বাহ এবং হিসাব সংরক্ষণ: পরিচালনা পরিষদ আলোচনা করিয়া বিভিন্ন পদ্ধতিতে আইনত বৈধ উৎস হইতে রাজস্ব সংগ্রহ, তহবিল সংরক্ষণ, ব্যয় নির্বাহ ও হিসাব সংরক্ষণ করিবে। চ‚ড়ান্ত হিসাবাদি বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রদর্শন করিবে। তবে, উদ্যোগের অভিভাবক পরিষদ সদস্যগণ ও সভাপতি যেকোনো সময় এতদ-সংক্রান্ত হিসাবাদি চাহিলে পরিচালনা পরিষদ তাহা প্রদর্শন করিতে বাধ্য থাকিবে।
(ঘ) অনুষ্ঠানাদি আয়োজন: পরিচালনা পরিষদ বিভিন্ন সভা, সেমিনার, গবেষণা মেলা, ক্যাম্পেইন ইত্যাদি কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিবে। তবে, সময়ে সময়ে কোনো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের জন্য পরিচালনা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে অন্য যেকোনো ব্যক্তিতে কোনো অনুষ্ঠানাদির দায়িত্ব প্রদান করিতে পারে। তবে, সাধারণ পরিষদের যেকোনো সদস্য যেকোনো অনুষ্ঠানাদির আয়োজনের জন্য পরিচালনা পরিষদের বিবেচনার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারে। সাধারণ পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমেও কোনো অনুষ্ঠান প্রস্তাব পাশ হলে সেটা বাস্তবায়নে পরিচালনা পরিষদ বাধ্য থাকিবে।
(৮) পারিশ্রমিক ও সম্মানি: কোনো নির্দিষ্ট শ্রমসাধ্য কাজ সম্পাদন উপলক্ষ্যে পরিচালনা পরিষদের সদস্যগণ অভিভাবক পরিষদের সদস্যগণ কর্তৃক নির্দিষ্ট পরিমাণে পারিশ্রমিক/ সম্মানিগ্রহণ করিতে পারিবে।
৭। অভিভাবক পরিষদ-এর গঠন ও কার্যাবলি:
(১) গঠন:  সাধারণ পরিষদের সদস্যগণের মধ্য হইতে অন্যূন ৩জন ব্যক্তিকে লইয়া অভিভাবক পরিষদ গঠিত হইবে। সাধারণ পরিষদের সকল সদস্যের ভোটে এই পরিষদের একজন অভিভাবক সভাপতি/অভিভাবক পরিষদ প্রতিনিধি নির্বাচিত হইবে।
(২) যোগ্যতা:
(ক) বয়স: অন্যূন ২৫ বছর।
(খ) অভিজ্ঞতা: শিক্ষকতা, গবেষণা, বা সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক/ গবেষণাসংক্রান্ত কাজে অন্যূন ৮ বছর কর্মঅভিজ্ঞতা। তবে, কর্মরতদের ক্ষেত্রে ৪ বছর কাজের অভিজ্ঞতা।
(৩) গঠনপ্রক্রিয়া ও অভিসংশন: সাধারণ পরিষদের অন্যূন তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের অনুমোদনক্রমে অভিভাবক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হইয়া তফসিল ২ অনুযায়ী স্বেচ্ছায় শপথবাক্য পাঠ করিয়া শপথ ফরমে স্বাক্ষর করিয়া দায়িত্বগ্রহণ করিবেন। সদস্যদিগের মেয়াদ ১০ বছর। অভিভাবক পরিষদের কোনো সদস্যের ব্যাপারে সাধারণ পরিষদের কোনো সংক্ষুব্ধ সদস্য পক্ষপাতিত্ব বা অসদাচরণের অভিযোগ আনিলে সাধারণ পরিষদের অন্যূন তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের অনুমোদনক্রমে অভিভাবক পরিষদের উক্ত সদস্যের সদস্য পদ নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্থগিত/ বাতিল করা যেতে পারে।
(৪) কার্যাবলি:
(ক) নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন তদারকি।
(খ) পরিচালনা পরিষদের তদারকি। যেসব ক্ষেত্রে পরিচালনা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হবেন, সেই সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তপ্রদান।
(গ) বিভিন্ন প্রকাশনার প্রতিবেদন চ‚ড়ান্তকরণ।
(ঘ) পরিচালনা পরিষদ কিংবা সাধারণ পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত যদি এই গঠনতন্ত্র, বাংলাদেশের প্রচলিত কোনো আইন বা বিধি-বিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তবে অভিভাবক পরিষদ উক্ত সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে ‘বাতিল’ বা ‘স্থগিত’ ঘোষণা করিতে পারিবে।
(ঙ) পরিচালনা পরিষদ যখন ‘অকার্যকর’ থাকিবে তার সমস্ত দায়িত্বাবলি অভিভাবক পরিষদ পালন করিবে।
৮। পরামর্শক পরিষদ-এর গঠন ও কার্যাবলি:
(১) গঠন: সাধারণ পরিষদের সদস্যগণের মধ্য হইতে অন্যূন ৩ জনকে লইয়া পরামর্শক পরিষদ গঠিত হইবে।
(২) যোগ্যতা:
(ক) বয়স: অন্যূন ২৫ বছর।
(খ) অভিজ্ঞতা: শিক্ষকতা, গবেষণা, বা সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক/ গবেষণাসংক্রান্ত কাজে অন্যূন ২ বছর কর্ম অভিজ্ঞতা।
(৩) গঠনপ্রক্রিয়া ও অভিশংসন: গঠনপ্রক্রিয়া ও অভিসংশন: পরিচালনা পরিষদের অন্যূন তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের অনুমোদনক্রমে পরামর্শক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হইয়া তফসিল ০৩ অনুযায়ী শপথ ফরমে স্বাক্ষর করিয়া সদস্যভুক্ত হইবেন। সদস্যদিগের মেয়াদ ২ বছর। পরামর্শক পরিষদের কোনো সদস্যের ব্যাপারে সাধারণ পরিষদের কোনো সংক্ষুব্ধ সদস্য পক্ষপাতিত্ব বা অসদাচরণের অভিযোগ আনিলে সাধারণ পরিষদের অন্যূন তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের অনুমোদনক্রমে উক্ত অভিভাবক পরিষদের উক্ত সদস্যের সদস্য পদ নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্থগিত/ বাতিল করা যেতে পারে।
(৪) কার্যাবলি:
(ক) অভিভাবক পরিষদ ও পরিচালনা পরিষদকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান।
(গ) অভিভাবক পরিষদ ও পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
ভাগ ৩: সদস্যতা
৯। সদস্য হইবার যোগ্যতা
(ক) নাগরিকত্ব: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। তবে, প্রবাসী বাংলাদেশি বা বিদেশি দ্বৈত-নাগরিকদের বিদেশি নাগরিকত্বের জন্য তারা সদস্য হইবার অনুপযুক্ত বিবেচিত হইবেন না।
(খ) কোনো ফৌজদারী অপরাধে দÐিত নয়, অথবা দÐভোগ শেষ হইবার পর ৫ বছর অতিবাহিত হইয়াছে।
(গ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাÐে জড়িত নহে।
(ঘ) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং ২০২৪ সালের মহান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা, মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, কিংবা অনুরূপ ঘৃণ্য অপরাধে জড়িত হইয়া বাংলাদেশের গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নাই।
(ঙ) বয়স: অন্যূন ১৮ বছর।
১০। সদস্য হইবার প্রক্রিয়া ও শপথ:
(১) সাধারণ সদস্য: আই.বি.আর.আর-এর
(২) উদ্যোক্তা সদস্য: আই.বি.আর.আর-এর গঠনতন্ত্র প্রণয়ন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে যুক্ত হইয়া যেসমস্ত ব্যক্তিবর্গ এই গঠনতন্ত্রে স্বাক্ষর করিবেন, তাহারা ‘উদ্যোক্তা সদস্য’ হিসেবে অত্র উদ্যোগের সাধারণ পরিষদের সদস্যরূপে পরিগণিত হইবেন। শর্ত থাকে যে, উদ্যোক্তা সদস্যগণ সাধারণ পরিষদের অন্যান্য সদস্য হইতে কোনোরূপ অধিক বা স্বল্পতর সুযোগ-সুবিধা বা মর্যাদার অধিকারী হইবেন না।
(৩) গঠনতন্ত্র কার্যকর হইবার পর সাধারণ পরিষদের সদস্য অনুমোদন প্রক্রিয়া:
ধাপ-১: অত্র গঠনতন্ত্রের ৯নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত যোগ্যতা-সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ সদস্য হইবার নিমিত্তে আই.বি.আর.আর-এর প্রাথমিক গুগল ফরম পূরণ করিয়া আই.বি.আর.আর সম্পর্কে পরিচিত হইবেন। এই পর্যায়ের ব্যক্তিগণের পরিচয় হইবে ‘আগ্রহী’। তাহারা বিভিন্ন কর্মসূচি ও আলোচনায় অংশ নিতে পারিবেন, কিন্তু ভোট দিতে পারিবেন না।
ধাপ-২: আগ্রহীগণ আই.বি.আর.আর সদস্য ফরম পূরণ-পূর্বক তাহাদের পরিচিতির বিভিন্ন প্রামাণ্য দলিলাদি আই.বি.আর.আর-এর পরিচালনা পরিষদকে প্রদান করিবেন। পরিচালনা পরিষদ সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করিয়া ‘আগ্রহী’ ব্যক্তিবর্গের তথ্যাদি যাচাই করিবেন।
ধাপ-৩: পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক যাচাইয়ের পর সাধারণ পরিষদের মিটিংয়ে (অনলাইন/ অফলাইনে) আগ্রহী সদস্য/ সদস্যগণের পরিচিতিসংবলিত আবেদন সম্পর্কে নির্বাহী পরিষদের যেকোনো প্রতিনিধি কর্তৃক অন্যূন সাতদিনের ব্যবধানে দুটি প্রস্তাব উত্থাপিত হইবে, উভয় প্রস্তাবে যদি কোনো আগ্রহী ব্যক্তি অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাভ করে, তবে তিনি সাধারণ পরিষদের সদস্যপদ লাভ করিবার উপযুক্ত বিবেচিত হইবেন।
(৪) শপথ/ অঙ্গীকারনামা:  অত্র গঠনতন্ত্রের ১০(১) এবং ১০(২) দফা অনুযায়ী সাধারণ পরিষদের সদস্যপদ লাভের উপযুক্ত বলে বিবেচিত প্রত্যেককে অত্র গঠনতন্ত্রটি পাঠপূর্বক ‘তফশীল ০৪’ এর ফর্ম অনুযায়ী একটি শপথ/ অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করিয়া তাহার একটি স্ক্যান কপি অথবা ডিজিটালি স্বাক্ষরকৃত কপি, উক্ত সদস্যের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং ফরমাল ছবি পরিচালনা পরিষদের নিকট জমা দেবেন। পরিচালনা পরিষদ সবকিছু বিবেচনা করিয়া আই.বি.আর.আর-এর দাপ্তরিক খাতায় এবং মুখপত্র ওয়েবসাইট (রহফবঢ়বহফবহঃনধহমষধ.পড়স)-এ তাহাদের চ‚ড়ান্তভাবে অনুমোদিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করিবে।
১১। সদস্যপদ স্থগিত, বাতিলকরণ ও সদস্যপদ ত্যাগ:
(১) স্থগিত বা বাতিলকরণ: কোনো পরিষদে ক্রিয়াশীল যেকোনো সদস্য অত্র গঠনতন্ত্রের ৯ অনুচ্ছেদে বর্ণিত যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হলে পরিচালনা পরিষদ (অন্যুন তিন-চতুর্থাংশ ভোটে) সাময়িকভাবে তার সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করিতে পারেন এবং সাধারণ পরিষদ (দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে) তার সদস্যপদ স্থায়ীভাবে বাতিল করে দিতে পারিবে। তবে, কোনো সদস্যের সদস্যপদ প্রাপ্তির যোগ্যতা সাময়িক সময়ের জন্য হারাইবার কারণ থাকিলে যেইটুকু সময় তাহার সদস্যপদের যোগ্যতা থাকিবে না, শুধু সেইটুকু পরিমাণ সময়ের জন্য তাহার সদস্যপদ স্থগিত রাখা যাইতে পারে।
(২) সদস্যপদ ত্যাগ: কোনো সদস্য স্বেচ্ছায় সদস্যপদ ত্যাগের অভিপ্রায় সৃষ্টি হইলে তিনি তাহার উপর অর্পিত নির্দিষ্ট দায়িত্ব সমাপ্ত করিয়া তিনি যেই পদাধিকারী ব্যক্তির (সাংগাঠনিক কাঠামোতে তাহার অবস্থান অনুযায়ী) নিকট হইতে সর্বশেষ দায়িত্বগ্রহণ করিবেন, তাহার নিকট হইতে ‘অব্যাহতিপত্র’ গ্রহণ করিবেন। অতপর, তিনি সাধারণ পরিষদের প্রতিনিধি/সভাপতি বরাবর তাহার অব্যহতির ইচ্ছা ব্যক্ত করিবেন। অতপর সাধারণ পরিষদের প্রতিনিধি ও পরিচালনা পরিষদের মুখ্য পরিচালকের যৌথ স্বাক্ষরে তাহার সদস্যপদ ত্যাগ কার্যকর করা হইবে। সদস্যপদ ত্যাগ না করিয়া কেহ দায়িত্বপালন স্থগিত করিলে তিনি অত্র গঠনতন্ত্রের ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘দায়িত্বপালনে অবহেলা’ করিবার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া হইতে নিস্তার পাইবেন না।
১২। সদস্যদের পালনীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য
(১) সদস্যদের দায়িত্বসমূহ
(ক) আই.বি.আর.আর-এর গঠনতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন মেনে চলা।
(খ) প্রত্যেককেই তাহার নিধারিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সহিত পালন করা।
(গ) সাংগাঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সর্বদা টিম লিডারের পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা মেনে চলা।
(২) সাংগাঠনিক কাঠামো ও দায়িত্বের বন্টননীতি: সাংগাঠনিক কাঠামোতে যেই ব্যক্তি যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, আই.বি.আর.আর-এর সকল সদস্যের মর্যাদা সমান। এই নীতিকে পরিস্ফ‚ট করিয়া তুলিবার লক্ষ্যে একই ব্যক্তিকে কোনো পরিষদ বা টিমের শীর্ষ স্থানে রাখা হইলেও অন্য টিম এবং পরিষদে তাহাকে নি¤œতর পদে রাখা হইবে। যেই ব্যক্তি যেই স্থানে যেই দায়িত্বে তাহার প্রতিভার সর্বোচ্চ বিকাশ হইবে বলিয়া প্রতীয়মান হইবে, সেই ব্যক্তিকে সেই স্থানে সেই কার্যে নিযুক্ত করিবার জন্য সর্বদা প্রচেষ্টা করা হইবে। এই ক্ষেত্রে ব্যক্তির আগ্রহ, সক্ষমতা ও সাংগাঠনিক প্রয়োজনের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে। দায়িত্বের বন্টনে বহুত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রকাশ থাকিবে। এইকারণে, বয়স বা অভিজ্ঞতায় সিনিয়র ব্যক্তিকেও অনেক কার্যক্ষেত্রে জুনিয়র টিম লিডারের অধীনে দায়িত্বপালন করিতে হইবে। এমতাবস্থায়, প্রতিটি টিমের ‘টিম লিডারগণ’ দায়িত্বপালনকালে টিমের প্রতিটি সদস্যকে বয়স-নির্বিশেষে শ্রদ্ধার সহিত দিক-নির্দেশনা প্রদান করিবেন; এবং প্রতিটি টিমের সদস্যগণ বয়স-নির্বিশেষে শ্রদ্ধার সহিত টিম লিডারগণের দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করিবেন। দায়িত্ববন্টন, পুনর্বন্টন ও এতদ-সংক্রান্ত কার্যাবলি ‘পরিচালনা পরিষদের নির্দিষ্ট’ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ সম্পাদনা করিবেন।
(৩) দায়িত্বপালনে অবহেলা ও তার প্রতিকার: সাংগাঠনিক কাঠামোতে যেই ব্যক্তি যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, তফসিল ৫ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট হইতে দায়িত্বগ্রহণ করিয়া সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্বপালন করিতে এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশৃঙ্খল অনুযায়ী দায়িত্ব বুঝাইয়া দিতে হইবে। কোনো ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণে দায়িত্বপালনে তাহার সময় বাড়াইয়া নিতে পারিবে। তবে, নি¤œরূপ কার্যক্রম দায়িত্বপালনে অবহেলা বলিয়া গণ্য হইবে:
(ক) সময় বাড়াইবার আবেদন না করিয়া দায়িত্বের নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করিয়া ফেলা।
(খ) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীরেকে একাদিক্রমে ৩বার সময় বাড়াইয়া চাওয়া।
(গ) অসুস্থতা বা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার কারণে কোনো সদস্য তাহার উপ অর্পিত দায়িত্ব টিমের অন্য সদস্যকে অর্পণ করিতে পারেন। এইরূপ কারণ না থাকা স্বত্তে¡ও এইরূপ মিথ্যা অযুহাত দাঁড় করানো।
পরিচালনা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত কোনো সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি যদি এইরূপ ‘দায়িত্বে অবহেলা’ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে পরিচালনা পরিষদের মুখ্য পরিচালক উক্ত ব্যক্তিকে পরিচালনা পরিষদ হইতে সাময়িক বরখাস্ত করিয়া তাহার বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিভাবক পরিষদকে সুপারিশ করিবেন। কোনো গবেষণা টিমের টিম লিডার বা টিম সদস্য যদি অনুরূপ ‘দায়িত্বে অবহেলা’ করেন, তাহা হইলে মুখ্য পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট টিম দেখাশোনার দায়িত্বে নিযুক্ত পরিচালনা পরিষদের সদস্য সম্মিলিতভাবে তাহাকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব হইতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিয়া অভিভাবক পরিষদকে সুপারিশ করিবেন। উভয় ক্ষেত্রে অভিভাবক পরিষদ এই ক্ষেত্রে তৃতীয়পক্ষের ব্যক্তিকে লইয়া অত্র গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাধীন বিচার কমিশনের মাধ্যমে দায়িত্বপালনে অবহেলার অভিযোগ তদন্ত করিয়া নি¤œরূপ দÐপ্রদান করিবেন:
(র) দায়িত্ব বা পদ হইতে অব্যাহতি
(রর) দায়িত্বপালনে অবহেলাজনিত নিন্দা-পয়েন্ট যাহা তাহার ‘অনলাইন সার্টিফিকেট’ এবং ইনডিপেনডেন্ট বাংলায় তাহার প্রোফাইলে যুক্ত হইবে।
১৩। সদস্যদের প্রাপ্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা:
(১) অধিকার সম্পর্কিত নীতি
(ক) সুযোগ ও সম্মানের সমতা: আই.বি.আর.আর-এর প্রতিটি সদস্য সমান সুযোগ ও সম্মানের অধিকারী হইবেন। যেকোনো কর্মে যেন সকলের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা হয়, সেই উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্তগ্রহণের সর্বত্র আইন, যৌক্তিক পদ্ধতি ও গবেষণা লব্ধ উপায়ের আশ্রয় গ্রহণ করা হইবে।
(খ)দায়িত্ববন্টননীতি: বিভিন্ন দল বা উপদলে কর্মবন্টনের ক্ষেত্রে সদস্যদের যোগ্যতা, আগ্রহ এবং প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া হইবে।
(২) অধিকারের তালিকা
(ক) সার্টিফিকেট: প্রতিটি কর্ম সম্পাদনের জন্য সদস্যগণতে আই.বি.আর.আর-এর নিয়ন্ত্রণাধীন ওয়েবসাইটে সর্বদা দৃশ্যমান সার্টিফিকেট প্রদান করা হইবে।  এছাড়া, আই.বি.আর.আর-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বিভিন্ন ভাতৃ-প্রতীম সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান হইতে প্রশিক্ষণ নেওয়া হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতেও যেন আই.বি.আর.আর-এর সদস্যদেরকে সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়, সেই ব্যাপারে প্রচেষ্টা করা হইবে।
(খ) প্রশিক্ষণ: আই.বি.আর.আর-এর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং বিভিন্ন ভাতৃ-প্রতীম সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় সদস্যগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাইবে।
(গ) প্রকাশনায় নাম অন্তর্ভুক্তকরণ: কোনো গ্রন্থ, গবেষণাপত্র, নীতিপত্র বা অন্য কোনো প্রকাশনাতে যতজন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ অবদান থাকিবে, প্রত্যেকের অবদানেরই স্বীকৃতি থাকিবে। অবদানের হারের তারতম্য বোঝানোর ক্ষেত্রে অধ্যায়ভিত্তিক পৃথক নামকরণ বা অন্য কোনো যৌক্তিক উপায়গ্রহণ করা হইবে। যৌথ উদ্যোগে নামকরণের ক্ষেত্রে যেসব অবদানের হারের তারতম্য বিচার দূরূহ, সেইসব ক্ষেত্রে বর্ণক্রম অনুযায়ী নামকরণ হইবে।
ভাগ ৪: বিবিধ
১৪। নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়া:
(১) বিভিন্ন পরিষদের সদস্য নির্বাচন: সাধারণ পরিষদ, পরিচালনা পরিষদ ও পরামর্শক পরিষদের সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিভাবক পরিষদ প্রতিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্যূন ৭দিন পূর্বে অন্যূন ২ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করিবেন; নির্বাচনের চ‚ড়ান্ত ফল গৃহীত হইবার সময় হইতে উক্ত নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হইবে। কমিশন অভিভাবক পরিষদের সহিত আলোচনা করিয়া সকলের নিকট নির্বাচনের পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া ভোটগ্রহণ করিবেন। ভোটগ্রহণের অন্তত ৩দিন আগে নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে আই.বি.আর.আর-এর সর্বসাধারণের জন্য একটি নোটিশ প্রদান করিবেন। ভোটগ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে আই.বি.আর.আর-এর কোনো সদস্য দ্বি-মত পোষণ করিলে সাধারণ পরিষদের আলোচনায় কন্ঠভোটে ভোটগ্রহণের একাধিক বিকল্প পদ্ধতিসমূহের মধ্য হইতে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি বাছাই করা হইবে। অভিভাবক পরিষদের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করিবে পরিচালনা পরিষদ।
(২) সিদ্ধান্তগ্রহণে ভোটগ্রহণ: আই.বি.আর.আর-এর যেকোনো গঠনমূলক সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো পরিষদের যেকোনো ফোরামে যেকোনো গবেষণামূলক পদ্ধতিতে পরিচালনা পরিষদের তত্ত¡াবধানে ভোটগ্রহণ বা জরিপ পরিচালনা করা হবে।
১৫। গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও সংশোধন: আই.বি.আর.আর-এর উদ্যোগে গঠিত উন্মুক্ত অনলাইন আলোচনাসমূহে আই.বি.আর.আর-এর অত্র গঠনতন্ত্রটির প্রতিটি অনুচ্ছেদ এবং আলোচনায় উঠিয়া আসা প্রতিটি বিবদমান বিষয়াদির ওপর আলোচনাপূর্বক ভোটগ্রহণের মাধ্যমে এবং সর্বশেষে চ‚ড়ান্ত গঠনতন্ত্রের ওপর ভোটগ্রহণের মাধ্যমে গঠনতন্ত্রটি গৃহীত হয়। আই.বি.আর.আর-এর যেকোনো সদস্যের নিকট গঠনতন্ত্রটির যেকোনো অনুচ্ছেদ বা তার অংশবিশেষ সংশোধনের প্রয়োজন প্রতীয়মান হইলে তিনি “গঠনতন্ত্র সংশোধন প্রস্তাব” শিরোনামে একটি লিখিত প্রস্তাব তফশীল ২ অনুযায়ী প্রণয়ন করিয়া পরিচালনা পরিষদকে প্রদান করিবেন। পরিচালনা পরিষদ উক্ত প্রস্তাব আই.বি.আর.আর-এর মুখপত্র ওয়েবসাইট (রহফবঢ়বহফবহঃনধহমষধ.পড়স)-এর নোটিশবোর্ডে প্রকাশ করিবেন। অতপর, উক্ত প্রস্তাব পরিচালনা পরিষদ আই.বি.আর.আর-এর সাধারণ পরিষদের সভায় উক্ত প্রস্তাব উত্থাপন করিলে তাহা তিন-চতুর্থাংশ ভোটপ্রাপ্ত হইলে উহা অভিভাবক পরিষদে প্রেরণ করা হইবে। অভিভাবক পরিষদে উহা তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সমর্থন লাভ করিলে উক্ত সংশোধন প্রস্তাব পাশ হইবে।
১৬। সাংগাঠনিক কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন:
(১) স্বল্পব্যয় ও ব্যয়হীন কর্মসূচির পরিকল্পনা: অন্যূন দুই হাজার টাকার (২,০০০টাকা) চেয়ে কম খরচের কিংবা ব্যয়হীন কর্মসূচির  পরিকল্পনা আই.বি.আর.আর-এর পরিচালনা পরিষদ স্বাধীনভাবে প্রণয়ন করিয়া উহা বাস্তবায়ন করিতে পারিবে। এই ক্ষেত্রে, পরামর্শক পরিষদ এবং অভিভাবক পরিষদ প্রয়োজনমাফিক পরামর্শ দিবে। তবে, এই ধরণের কোনো কর্মসূচি বা তাহার কোনো অংশবিশেষ লইয়া সাধারণ পরিষদের কোনো সদস্যের কোনো বিরোধ থাকিলে তিনি উহা পরিচালনা পরিষদকে পরামর্শ দিতে পারেন। তাহার পরামর্শ গৃহীত না হইলে এবং উহা তাহার নিকট গুরুতর প্রতীয়মান হইলে উহা সাধারণ পরিষদের সভায় লিখিত প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করিতে পারেন। উক্ত প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠভোটে পাশ হইলে উক্ত কর্মসূচির পরিকল্পনা অত্র গঠনতন্ত্রের ১৬(২) দফা অনুযায়ী পাশ হইয়া তাহার পর বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হইবে।
(২) ব্যয়বহুল ও বিরোধযুক্ত কর্মসূচি: কোনো কর্মসূচির ব্যয় অন্যূন দুই হাজার টাকা (২,০০০) বা তার অতিরিক্ত ব্যয়যুক্ত কর্মসূচি এবং অত্র গঠনতন্ত্রের ১৬(২) দফা অনুযায়ী বিরোধযুক্ত কর্মসূচি নি¤œরূপ ধাপ অনুসরণ করিয়া বাস্তবায়িত হইবে:
ধাপ ১: কর্মসূচি সার্বিক আয়-ব্যয়, ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক উল্লেখ করিয়া একটি লিখিত ‘পরিকল্পনাপত্র’ আই.বি.আর.আর-এর মুখপত্র ওয়েবসাইট (রহফবঢ়বহফবহঃনধহমষধ.পড়স)-এর নোটিশবোর্ডে প্রকাশ করিবেন।
ধাপ-২: নোটিশবোর্ডে পরিকল্পনাটির সহিত উক্ত পরিকল্পনাটি লইয়া পরামর্শক পরিষদ ও অভিভাবক পরিষদের লিখিত মতামত-ও প্রকাশ করা যাইতে পারে। পরিকল্পনাটি অন্যূন ৩দিন প্রকাশিত থাকিবার পর অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের সভায় উক্ত কর্মসূচি পরিকল্পনাটির ব্যাপারে ভোটগ্রহণ হইবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিকল্পনাটি পাশ হইবে। পরিকল্পনাটির কোনো অংশবিশেষ লইয়া কোনো সদস্য দ্বি-মত পোষণ করিলে উক্ত অংশবিশেষের ওপর পৃথক ভোটগ্রহণ করা যাইবে।
ধাপ-৩: সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত কর্মসূচিটি পরামর্শক পরিষদ ও অভিভাবক পরিষদের পরামর্শ লইয়া পরিচালক পরিষদ বাস্তবায়ন করিবে। বাস্তবায়নের কোনো পর্যায়েও যদি কোনো কর্মসূচি লইয়া দ্বিধা তৈরি হয়, তবে, তাহা সংশোধনের লক্ষ্যে সাধারণ পরিষদের যেকোনো সদস্য পরিচালনা পরিষদকে পরামর্শ দিতে পারে। তাঁহার পরামর্শ উপেক্ষা করা হইলে তিনি তাহার পরামর্শ লিখিত আকারে উপস্থাপন করিবেন, যাহা আই.বি.আর.আর-এর মুখপত্র ওয়েবসাইট (রহফবঢ়বহফবহঃনধহমষধ.পড়স)-এর নোটিশবোর্ডে প্রকাশ করিবেন। উহা প্রকাশের পরবর্তী সাধারণ সভায় উক্ত বিষয় লইয়া সাধারণ পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে ফলাফল চ‚ড়ান্ত হইবে।
১৭। গঠনতন্ত্রের ভাষা: গঠনতন্ত্রে ভাষা হইবে বাংলা এবং ইংরেজি। ভাষাগত বিরোধের ক্ষেত্রে ইংরেজি/বাংলা ভাষা প্রাধান্য পাইবে।
১৮। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তি ও বিচারিক প্রক্রিয়া: সংগঠনের কোনো সদস্যদের মধ্যে কোনো সংগঠন সংক্রান্ত কোনো বিষয় লইয়া কোনো বিরোধ সৃষ্টি হইলে উহার নিষ্পত্তির জন্য অভিভাবক পরিষদ যেকোনো ব্যক্তি/ ব্যক্তিবর্গকে লইয়া একটি বিচার কমিশন গঠন করিবেন। কমিশন বিচারকার্য পরিচালনা করিবে। কমিশনের বিচারে কোনো পক্ষ সন্তোষ্ট না হইলে উহার বিচারের জন্য উভয় পক্ষই নিজ-নিজ উদ্যোগে ১জন করিয়া প্রতিনিধি মনোনীত করিবেন। তাহারা প্রথমত উদ্ভ‚ত বিষয়ের সালিশী মীমাংসা করিবেন। উহাতে সমাধা না হইলে, অভিভাবক পরিষদ ও পরিচালনা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে (প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তায়) চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
১৯। সভা:
(১) সাধারণ পরিষদের সভা:
(ক) আই.বি.আর.আর-এর সকল পরিষদের সমন্বয়ে, সাধারণ পরিষেদর সভাপতি/ প্রতিনিধি  মাসিক/ প্রতি ২মাসে/ প্রতি ৩ মাসে/ প্রতি ৬ মাসে একবার ‘সাধারণ সভা’ আয়োজিত হইবে। ইহা ছাড়া, সাংগাঠনিক প্রয়োজনে অভিভাবক পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ পরিষদের সভাপতি/প্রতিনিধি যতবার প্রয়োজন ততবার ‘বিশেষ সভা’ আয়োজন করিতে পারিবেন।
(খ) সভা আয়োজনের মূল দায়িত্ব পরিচালনা পরিষদের। উক্ত পরিষদের মুখ্য পরিচালক সভার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করিবেন। পরিচালনা পরিষদের দায়িত্বে সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্তসমূহ লিপিবদ্ধ করিয়া আই.বি.আর.আর-এর নিয়ন্ত্রণাধীন ওয়েবসাইট (রহফবঢ়বহফবহঃনধহমষধ.পড়স)-এর নোটিশবোর্ডে প্রকাশ করিবে। এছাড়া সভার সামগ্রিক প্রচারণার দায়িত্বও পরিচালনা পরিষদ পালন করিবে।
(গ) আই.বি.আর.আর-এর সামগ্রিক সভায় সভাপতিত্ব করবেন অভিভাবক সভাপতি/অভিভাবক পরিষদ প্রতিনিধি। তবে, কোনো সভায় অভিভাবক পরিষদ অনুপস্থিত থাকলে সভাপতিত্ব করবেন সাধারণ পরিষদ প্রতিনিধি/ সভাপতি।
(২) অন্যান্য পরিষদের সভা:
সাধারণ পরিষদের সভা ব্যতীত অন্যান্য পরিষদের সভা স্ব-স্ব পরিষদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদিত হইবে। এরকম সভার সিদ্ধান্ত স্ব-স্ব সভার প্রতিনিধি পরিচালনা পরিষদকে জানালে পরিচালনা পরিষদ আই.বি.আর.আর-এর নিয়ন্ত্রণাধীন ওয়েবসাইট (রহফবঢ়বহফবহঃনধহমষধ.পড়স)-এর নোটিশবোর্ডে প্রকাশ করিবে।
(৩) সেমিনার, সংবাদ সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কর্মসূচি, বিবিধ:
আই.বি.আর.আর-এর গবেষণাকর্ম উপস্থাপনের জন্য সেমিনার বা অনুরূপ কর্মসূচি, সংবাদ সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন বা কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য সকল পরিষদের যৌথ অংশগ্রহণে একটি কমিটি গঠিত হইবে। উক্ত কমিটি পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক গঠিত ও অভিভাবক পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হইবে।
তফসিল ১: নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের পদের শপথ
আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালার নামে (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন) ঘোষণা দিচ্ছি যে, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের যে মহান আদর্শ লইয়া ইনিশিয়াটিভস ফর বাংলাদেশ-রিফর্ম রিসার্স গঠিত হইয়াছে সেই আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিবো। আমি আমার ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্দ্ধে আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করিবার জন্য সর্বদা চেষ্টা করিবো। এই লক্ষ্যে অত্র উদ্যোগের গঠনতন্ত্রসহ অন্যান্য নিয়ম-কানুন মানিয়া চলিব। অত্র উদ্যোগে যুক্ত থাকাকালে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত হইবো না। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে অত্র উদ্যোগের কাহারো সহিত অনিরপেক্ষ আচরণ করিবো না। রাগের বশবর্তী হইয়া কিংবা সাময়িক উত্তেজনায় কাহারো ক্ষতি করিবো না। যেকোনো পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখিবার চেষ্টা করিবো। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিবেকের আশ্রয় নিব। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে এবং জড়িত হইবার পরে, কোনো অবস্থাতেই আমি অত্র উদ্যোগের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি, গোপনীয় তথ্যাবলি এবং গবেষণা সম্পর্কিত তথ্যাবলি অত্র উদ্যোগের যথাযথ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি না লইয়া কোথাও প্রকাশ কিংবা প্রচার করিব না।
হে আল্লাহ (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন), আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন আমার প্রতিশ্রæতি মানিয়া চলিতে পারি।
Ñনাম ও স্বাক্ষর
তফসিল ২: অভিভাবক পরিষদের সদস্যদের পদের শপথ
আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালার নামে (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন) ঘোষণা দিচ্ছি যে, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের যে মহান আদর্শ লইয়া ইনিশিয়াটিভস ফর বাংলাদেশ-রিফর্ম রিসার্স গঠিত হইয়াছে সেই আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিবো। আমি আমার ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্দ্ধে আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করিবার জন্য সর্বদা চেষ্টা করিবো। এই লক্ষ্যে অত্র উদ্যোগের গঠনতন্ত্রসহ অন্যান্য নিয়ম-কানুন মানিয়া চলিব। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে অত্র উদ্যোগের কাহারো সহিত অনিরপেক্ষ আচরণ করিবো না। রাগের বশবর্তী হইয়া কিংবা সাময়িক উত্তেজনায় কাহারো ক্ষতি করিবো না। যেকোনো পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখিবার চেষ্টা করিবো। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিবেকের আশ্রয় নিব। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে এবং জড়িত হইবার পরে, কোনো অবস্থাতেই আমি অত্র উদ্যোগের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি, গোপনীয় তথ্যাবলি এবং গবেষণা সম্পর্কিত তথ্যাবলি অত্র উদ্যোগের যথাযথ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি না লইয়া কোথাও প্রকাশ কিংবা প্রচার করিব না। অত্র উদ্যোগের জড়িত গবেষক ও শিক্ষানবিশ গবেষকগণকে সন্তান¯েœহে যতœ লইয়া যথাযথ অভিভাবকত্ব করিব।
হে আল্লাহ (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন), আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন আমার প্রতিশ্রæতি মানিয়া চলিতে পারি।
Ñনাম ও স্বাক্ষর
তফসিল ৩: পরামর্শক পরিষদের সদস্যদের পদের শপথ
আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালার নামে (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন) ঘোষণা দিচ্ছি যে, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের যে মহান আদর্শ লইয়া ইনিশিয়াটিভস ফর বাংলাদেশ-রিফর্ম রিসার্স গঠিত হইয়াছে সেই আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিবো। আমি আমার ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্দ্ধে আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করিবার জন্য সর্বদা চেষ্টা করিবো। এই লক্ষ্যে অত্র উদ্যোগের গঠনতন্ত্রসহ অন্যান্য নিয়ম-কানুন মানিয়া চলিব। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে অত্র উদ্যোগের কাহারো সহিত অনিরপেক্ষ আচরণ করিবো না। রাগের বশবর্তী হইয়া কিংবা সাময়িক উত্তেজনায় কাহারো ক্ষতি করিবো না। যেকোনো পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখিবার চেষ্টা করিবো। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিবেকের আশ্রয় নিব। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে এবং জড়িত হইবার পরে, কোনো অবস্থাতেই আমি অত্র উদ্যোগের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি, গোপনীয় তথ্যাবলি এবং গবেষণা সম্পর্কিত তথ্যাবলি অত্র উদ্যোগের যথাযথ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি না লইয়া কোথাও প্রকাশ কিংবা প্রচার করিব না। অত্র উদ্যোগের জড়িত গবেষক ও শিক্ষানবিশ গবেষকগণকে সন্তান¯েœহে যতœ লইয়া সুপরামর্শ দিয়া উপকৃত করিবার চেষ্টা করিব।
হে আল্লাহ (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন), আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন আমার প্রতিশ্রæতি মানিয়া চলিতে পারি।
Ñনাম ও স্বাক্ষর
তফসিল ৪: আই.বি.আর.আর-এর সদস্য পদের শপথ
আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালার নামে (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন) ঘোষণা দিচ্ছি যে, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের যে মহান আদর্শ লইয়া ইনিশিয়াটিভস ফর বাংলাদেশ-রিফর্ম রিসার্স গঠিত হইয়াছে সেই আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিবো। আমি আমার ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্দ্ধে আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করিবার জন্য সর্বদা চেষ্টা করিবো। এই লক্ষ্যে অত্র উদ্যোগের গঠনতন্ত্রসহ অন্যান্য নিয়ম-কানুন মানিয়া চলিব। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে অত্র উদ্যোগের কাহারো সহিত অনিরপেক্ষ আচরণ করিবো না। রাগের বশবর্তী হইয়া কিংবা সাময়িক উত্তেজনায় কাহারো ক্ষতি করিবো না। যেকোনো পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখিবার চেষ্টা করিবো। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিবেকের আশ্রয় নিব। অত্র উদ্যোগে জড়িত থাকাকালে এবং জড়িত হইবার পরে, কোনো অবস্থাতেই আমি অত্র উদ্যোগের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি, গোপনীয় তথ্যাবলি এবং গবেষণা সম্পর্কিত তথ্যাবলি অত্র উদ্যোগের যথাযথ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি না লইয়া কোথাও প্রকাশ কিংবা প্রচার করিব না। অত্র উদ্যোগের জড়িত গবেষক ও শিক্ষানবিশ গবেষকগণকে ভাতৃ বা ভগিনী গণ্য করিয়া যথাযথ সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখিয়া কার্যক্রমে অংশ নেবার চেষ্টা করিব।
হে আল্লাহ (অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নাম পাঠ করবেন), আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন আমার প্রতিশ্রæতি মানিয়া চলিতে পারি।
Ñনাম ও স্বাক্ষর
তফসিল ৫: বিভিন্ন পরিষদ ও তদাধীন সেলসমূহের দায়িত্বাবলি
তফসিল ৬: উদ্যোক্তা সদস্যগণের তালিকা ও স্বাক্ষর
নাম স্থায়ী ঠিকানা মোবাইল নং স্বাক্ষর

 

তফসিল ৭: কর্মসূচিসমূহের তালিকা

(১) গবেষণা: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডিপেনডেন্ট বাংলার সদস্যবৃন্দকে গবেষণাকর্ম সম্পাদনা ও প্রকাশনায় আন্তঃসহযোগিতা প্রদান করা। এছাড়া, ইনডিপেনডেন্ট বাংলার নিজস্ব উদ্যোগে স্বল্প পরিসের সার্ভে ও অনলাইন সার্ভে পরিচালনা।
(২) দলদগত অধ্যয়ন: ইনডিপেনডেন্ট বাংলার সদস্যবৃন্দের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে দলগত অধ্যয়ন (গ্রুপ স্টাডি) ও পরিচালনা।
(৩) সেমিনার, ওয়েবিনার ও সম্মুখ সংলাপ: বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর অনলাইনে ও ইন-পার্সন আলোচনার নিমিত্তে ওয়েবিনার, সেমিনার ও সম্মুখ সংলাপ পরিচালনা।
(৪) বৃক্ষরোপণ: পরিবেশ উন্নয়নের মহান ব্রত নিয়ে ইনডিপেনডেন্ট বাংলার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন ও বৃক্ষরোপণে সচেতনাবৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম।
(৫) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস: দুর্যোগপূর্ব সচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্যোগে সাড়াদান ও দুর্যোগপরবর্তী পুনর্গঠনে নানা প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ।
(৬) লেখার চর্চা: বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ লেখা এবং সাহিত্য রচনার ব্যাপারে পারস্পারিক সহযোগিতা, পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ায় সম্পাদনা এবং প্রকাশনায় দিকনির্দেশনা প্রদান করা।
(৭) শিক্ষা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কর্মসূচি: সদস্যদের চাঁদা, অনুদান ও অন্যান্য উৎস থেকে গৃহীত অর্থরে একটি অংশ হতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্নপ্রকার সৃজনশীল ও অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ।

 

 

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial