হে কবি, আর কবিতা নয়_ যুদ্ধে এসো।
হে বিপ্লবী, আর দেরি নয়_ যুদ্ধে এসো।
এ বিপন্ন মানবতার আর্ত-চিৎকারে
যে কবিতা শুধু হাহাকার বৃদ্ধি করে
সে কবিতার দরকার আজ নেই আর;
কলম নয়, বুলেট নিয়ে এসো এবার।
হে নারী, বন্ধ করো তো কান্না তাড়াতাড়ি-
তুমি ভ‚তলের কাণ্ডারী মা যে আমারি!
উল্লাসে, উদ্যোমে, উচ্ছাসে বিক্ষোভে ফুঁসে
অস্ত্র লও, যুদ্ধে এসো, তুমি যুদ্ধে এসো।
হে পুরুষ, তোমার পৌরুষে যুদ্ধে এসো,
পৌরুষের গৌরব দেখাতে সুমুখে এসো,
আজ গণহন্তারক অসুর ডাইনী
লেলিয়ে দিয়েছে তার কুকুর বাহিনী,
দেখো, যেখানেই পাচ্ছে, মানুষ কামড়াচ্ছে;
মানুষকে ধরছে, মারছে, গুলি করছে;
আজ নিজের কাছে প্রশ্ন করো নিজেরে,
মানুষকে কি কভু কোনো মানুষ এভাবে মারে?
মানুষকে বাঁচাতে এবার তুমি এগিয়ে এসো,
এ ছাত্রজনতাকে বাঁচাতে যুদ্ধে এসো।
তোমার নিজের অস্তিত্ব রক্ষার টানে,
আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনে,
হাতের কাছে যা পাও তাই নিয়ে, দৃঢ় হয়ে,
জয়ের প্রত্যয়ে আর সংগঠিত হয়ে,
তোমরা যথাশীঘ্রই এবার যুদ্ধে এসো।
হে বাঙালি, চাকমা ও সান্তালি, যুদ্ধে এসো।
হে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ আর খ্রিস্টান,
তোমরা সকলে বাংলাদেশের সন্তান,
দেশের প্রতিটি ধূলিকণার মালিক,
তোমরা সমভাবে সকলে, এটা ঠিক।
দেশের প্রতিটি অধিকারের মালিক,
তোমরা সমভাবে সকলে, এটা ঠিক।
আমাদের অধিকার সব ভেঙ্গে-চুরে,
জেলে পুরে আর গুলি করে মেরে-ধরে,
জাতির অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেলছে যারা,
তাদের প্রতিরোধ প্রত্যয়ে তোমরা
শক্ত হয়ে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এসো,
একত্র আর সংহত হয়ে যুদ্ধে এসো।
ছন্দ: অক্ষরবৃত্ত (পূর্ণ পঙক্তি: ১৪ মাত্রা)
রচনাকাল: ১৫-২৬ জুলাই, ২০২৪। কবিতাটি কয়েকবার সম্পাদনা করে ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করা হয়। বারবার সম্পাদনার কারণে কবিতাটির অনেকগুলো ভার্শন অনলাইনে পাওয়া যায়। সর্বশেষ সম্পাদনা: ৩১ জুলাই ২০২৪।