সংবিধানের পোস্টমর্টেম গ্রন্থে কী আছে, এইটা জানলে আরো স্পষ্ট হবে গ্রন্থটি কাদের কাজে লাগবে।
সংবিধানের পোস্টমর্টেম গ্রন্থে কী আছে তা জানতে এখানে ক্লিক করুন
সংবিধানের পোস্টমর্টেম গ্রন্থটি কেন পড়বেন জানতে এখানে ক্লিক করুন/
এবার আমরা আলোচনা করছি: গ্রন্থটি কাদের কাজে আসবে।
(১) নীতি-নির্ধারক: আমাদের সংস্কারকৃত সংবিধান কেমন হবে, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যারা ভূমিকা রাখবেন, তাদের সকলেরই এই গ্রন্থটি কাজে লাগবে। কারণ, এই গ্রন্থে সংবিধান সংস্কারের যে প্রতিটি প্রস্তাব আছে, প্রত্যেকটির পক্ষে ও বিপক্ষের সব যুক্তি একত্রে সাজানো আছে। বিবদমান যুক্তিগুলো থেকে যৌক্তিক উপায়ে কীভাবে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসা যায়, সেই ব্যাপারে অনেকগুলো করে ফর্মুলা আছে। এই জিনিসগুলোর একত্র সমাহার তাই নীতি-নির্ধারক মহলকে নীতি নির্ধারণে অবশ্যই সহায়তা করবে।
(২) রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী: সংবিধান সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। এই গ্রন্থটির বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা এবং যুক্তিরাশি রাজনৈতিক নেতাগণকে স্ব-স্ব রাজনৈতিক দলের পক্ষে বাস্তবসম্মত যুক্তি খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। সকল দলের নেতাকর্মীকেই এই গ্রন্থটির যুক্তিরাশি সহায়তা করবে। বিভিন্ন দলের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়া সৃষ্টিতেও এই গ্রন্থ কাজে লাগবে।
(৩) চাকরি প্রার্থী: বিসিএস ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার লিখিত ও ভাইভায় এই গ্রন্থটি ব্যাপক সহায়তা করবে। যারা বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে সংবিধান, সরকার ব্যবস্থা ও নির্বাচন অধ্যায়গুলো হতে ৬০ নম্বরের প্রশ্ন আসতে পারে। গণঅভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংস্কার বিষয়ে রচনাও আসতে পারে বাংলা বা ইংরেজিতে। ভাইভায়ও এই ধরণের প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায় এরকম প্রশ্ন আসতে পারে। সুতরাং, এই বইটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
(৪) রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক: যারা বাংলাদেশের সংবিধান, সংস্কার, এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের গবেষণাকর্ম, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনায়; এবং বক্তব্য, টিভি-টকশো, সেমিনার ও আলোচনায় গুরুত্ববহ যুক্তি খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
(৫) শিক্ষক-শিক্ষার্থী: বইটি আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস প্রভৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণকে প্রভূত সহায়তা করবে।
(৬) অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও উন্নয়নকর্মী: যারা দেশের পরিবর্তনমূলক আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে আগ্রহী, সামাজিক সংগঠনের কর্মী, ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় লেখালেখি করেন, তাঁদের চিন্তার খোড়াক যোগাবে এই গ্রন্থটি।
(৭) সচেতন পাঠক: যারা বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতি ও সংবিধানের পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন সাধারণ নাগরিক।
(৮) জনগণ: আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তার পথনির্দেশ করবে সংবিধান। সুতরাং, নতুন সংবিধান কেমন হবে, সেইটা এই দেশের সকল জনগণের স্বার্থের বিষয়। এই কারণে, জনগণের বিপুল সংখ্যক মানুষ সংবিধান নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, নতুন সংবিধান গ্রহণে একটি গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এমন কোনো আয়োজন হয়, সেক্ষেত্রেও জনমনে সংবিধান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, এই গ্রন্থটির জনগণের সকল অংশে ব্যাপক আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম।