হে জাতীয়তাবাদী জিয়ার সৈনিক,
তুমি নির্ভীক, অকুতোভয়,
নিশ্চয়ই তুমি জীবনের ঝুঁকি জেনেও
যুদ্ধে যেতে জানো_
সাতাশে মার্চ মেজর জিয়ার মতো;
জাতির প্রয়োজনে,
তুমি রক্ত দিতে জানো,
একাত্তরে অকাতরে
নিজপ্রাণ কোরবানকারী শহিদদের মতোÑ
নব্বইয়ের নূর হোসেন-জেহাদদের মতো;
বুক পেতে লড়াই করে গুলি খেতে জানো,
প্রতিবাদ করতে জানো,
তুমি লড়াই করতে জানো,
দৈনিক সংগ্রামকারী হে সৈনিক।,
হে জাতির জ্বলন্ত প্রদীপ,
তুমি তো জীবন দিয়ে শিখেছো
জাতীয়তাবাদের জীবন্ত অর্থ:
জাতীয় মুক্তির জন্য
জীবনদানে পূণ্য;
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মানেÑ
বাঙালি-সান্তালি-চাকমা-মৈতৈ ভাইভাই
ভাইয়ে-ভাইয়ে কোনো প্রভেদ নাই,
ভাইয়ে-ভাইয়ে কোনো বিভেদ নাই,
ভাইয়ে-ভাইয়ে কোনো বিবাদ না চাই;
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মানেÑ
বাংলাদেশি মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও হিন্দু
‘বাংলাদেশ’ নামক বৃত্তে_ তারা একেকটা বিন্দুÑ
কোনো একটা ছাড়া
পূর্ণতা পায় না তারা
প্রত্যেকে তারা বাংলাদেশের জীবন্ত প্রদীপ।
হে শহিদ জিয়ার ভক্ত
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মানে_
বহুদলীয় গণতন্ত্র,
জনতার মুক্তির অমোঘ অমিয় মন্ত্র,
যার মানে_
সকল দলের
সকল মতের
সকলের জন্য:
জীবনের অধিকার,
চলাফেরার অধিকার,
কথা বলার অধিকার,
সভা করার অধিকার।
বহুদলীয় গণতন্ত্র,
জনতার মুক্তির অমোঘ অমিয় মন্ত্র,
যার মানেÑ
“রাষ্ট্রের দাস নয় কেউ, সদস্য সবাই”_
এই মন্ত্রে
শাসন হবে গণতন্ত্রে
সকলের মর্যাদা সমান,
সকলের অধিকার সমান,
সকলেই সমান,
যাদের দেহে বাংলাদেশির রক্ত।
বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানে_
স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা,
দুর্নীতিমুক্ত শাসন,
স্বচ্ছ প্রশাসন, স্বচ্ছ নির্বাচন,
আর জনতার সরকার_
জনতার জন্য জনতার মধ্য হতে
জনতার দ্বারা নির্বাচিত সরকার,
যেখানে,
জনগণ রাজার প্রজাদের মতো ‘দাস’ নয়,
উপনিবেশের বাসিন্দাদের মতো শোসিত নয়,
স্বৈরশাসকের অধীনে অধিকারবিহীন নয়
বৈষম্য ও শোষণে নিষ্পেষিত নয়,
জনগণই দেশের মালিক-
আর সকল জনতার সম্মান সমান সবখানে।
হে জাতীয়তাবাদের জাগরুক সেনানী,
যখন দেখবে_
দেশে গণতন্ত্র নেই,
তখন বুঝবে_
জিয়ার জাতীয়তাবাদ আর জীবন্ত নেই,
জনগণ আর স্বাধীন নেই।
যখন দেখবে_
তুমি কথা বলতে ভয় পাচ্ছো,
তখন বুঝবে গণতন্ত্র জীবিত নেই;
যখন দেখবে_
তুমি বিনাদোষে বন্দী,
প্রশান্তিতে নিঃশ্বাসও নিতে পারছো না,
যেন তোমার গলা টিপে ধরে আছে কেউÑ
তখন বুঝবে_
এই দাসত্বের জীবন তোমার নয়,
এই অভিশপ্ত জীবন তোমার নয়!
তখন,
যেই করুক তোমার অবস্থা এমন,
তার বিরুদ্ধে তুমি জাগো,
বাঁচার জন্য জাগো,
আর জাগার জন্য জীবনকে দাও কোরবানি।
হে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী,
তুমি গণতন্ত্রের আবাদী,
তুমি উদারতাবাদের আবাদী,
তুমি জনগণের মুক্তির আবাদী,
মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়েও তুমি আশাবাদী;
যখন দেখবেÑ
বাংলাদেশের একটি মানুষ
অন্যায়ভাবে নিপীড়িত হচ্ছে,
বৈষম্যের শিকার হচ্ছে,
তখন তোমার দায়িত্ব হচ্ছে__
প্রতিবাদ করা;
বাংলাদেশের একটি মানুষ যদি
অন্যায়ভাবে ব্যথা পায়,
তার মানে,
বাংলাদেশের একটি অঙ্গ ব্যথা পেল;
তাই, সকল বাংলাদেশির প্রতিই তুমি হও দরদী।
হে জাতীয়তাবাদের অতন্দ্র প্রহরী,
জাতীয়তাবাদের শুভ মন্ত্রে সর্বদা তুমি জাগো,
জাগো, জাতীয়তাবাদী জাগো,
বাংলাদেশের মুক্তির জন্য জাগো,
বাংলাদেশের প্রগতির জন্য জাগো,
হক্ব-ইনসাফের মহান আহŸানে জাগো,
হক্বের পতাকা ধরেও যদি কেহ বে-হক্ব কাজ করে,
তার বিরুদ্ধেও জাগো,
জাতীয়তাবাদের গান করেও কেউ যদি জাতির বিরুদ্ধে কাজ করে,
কার বিরুদ্ধেও জাগো,
জাগো জাগো জাগো,
তোমার জাগরণে যদি কেউ বাঁধা দেয়,
বুঁঝবে, সমগ্র জাতির জন্য সেই বাঁধা,
যদি জাতি হেরে যায়,
মরে যাবে
তোমার পিতা-পুত্র, মাতা-কন্যা, স্ত্রী-স্বামী,
বর্তমান-ভবিষ্যৎ
সমস্ত অস্তিত্ব__
তাই, যদি তুমি যুদ্ধ করে মরেও যাও,
আর তাতে একটি নতুন ভোর আসে,
যেই ভোরে তোমার সন্তান নির্ভয়ে মৃদ্যু হাসে,
সেই একটি ভোরের জন্য
তোমার জীবনদান সার্থক;
এমন মহান আয়োজনে
জীবন উৎসর্গ করো প্রয়োজনে,
হে কাণ্ডারী।