‘‌মুক্তাত্মা সমিতি’ সম্পর্কে

‘‌মুক্তাত্মা সমিতি’ একটি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকেন্দ্র। এখানে বিষয়ভিত্তিক অধ্যয়ন, গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি, পরিবেশ, জলবায়ু, দুর্যোগ, যুদ্ধ, সংকট, প্রভৃতি বিষয়ে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি এবং সৃষ্ট জ্ঞানের প্রসার, প্রচার ও প্রয়োগের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নানা প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

জ্ঞানের বিকাশের মাধ্যমে মুক্তির পথ অন্বেষণের’ প্রত্যয় নিয়ে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ শিক্ষার্থী ও প্রাক্তনের উদ্যোগে একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনরূপে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

  মুক্তাত্মা সমিতির ইশতেহার

রূপকল্প: সমগ্র বিশ্বে জ্ঞানভিত্তিক সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন।

অভীষ্ট্যসমূহ: 

(১) জ্ঞানসৃষ্টি: গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি।
(২) জ্ঞানের প্রয়োগ: সৃষ্ট জ্ঞান সমাজে প্রয়োগের লক্ষ্যে সচেতনতামুলক ও গবেষণাধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ।
(৩) জ্ঞানের প্রসার: জ্ঞানসৃষ্টি ও জ্ঞানের প্রয়োগধর্মী কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্য ওকালতি এবং পরিশীলিত লেখালেখির মাধ্যমে অর্থনীতির বিকাশের জন্য সরকার ও বেসরকারি উন্নয়নকর্মীগণকে দিকনির্দেশনা প্রদান।

কার্যক্রমসমূহ: 

(১) গবেষণা: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডিপেনডেন্ট বাংলার সদস্যবৃন্দকে গবেষণাকর্ম সম্পাদনা ও প্রকাশনায় আন্তঃসহযোগিতা প্রদান করা। এছাড়া, ইনডিপেনডেন্ট বাংলার নিজস্ব উদ্যোগে স্বল্প পরিসের সার্ভে ও অনলাইন সার্ভে পরিচালনা।
(২) দলদগত অধ্যয়ন: ইনডিপেনডেন্ট বাংলার সদস্যবৃন্দের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে দলগত অধ্যয়ন (গ্রুপ স্টাডি) ও পরিচালনা।
(৩) সেমিনার, ওয়েবিনার ও সম্মুখ সংলাপ: বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর অনলাইনে ও ইন-পার্সন আলোচনার নিমিত্তে ওয়েবিনার, সেমিনার ও সম্মুখ সংলাপ পরিচালনা।
(৪) বৃক্ষরোপণ: পরিবেশ উন্নয়নের মহান ব্রত নিয়ে ইনডিপেনডেন্ট বাংলার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন ও বৃক্ষরোপণে সচেতনাবৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম।
(৫) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস: দুর্যোগপূর্ব সচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্যোগে সাড়াদান ও দুর্যোগপরবর্তী পুনর্গঠনে নানা প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ।
(৬) লেখার চর্চা: বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ লেখা এবং সাহিত্য রচনার ব্যাপারে পারস্পারিক সহযোগিতা, পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ায় সম্পাদনা এবং প্রকাশনায় দিকনির্দেশনা প্রদান করা।
(৭) শিক্ষা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কর্মসূচি: সদস্যদের চাঁদা, অনুদান ও অন্যান্য উৎস থেকে গৃহীত অর্থরে একটি অংশ হতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্নপ্রকার সৃজনশীল ও অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ।

মুক্তাত্মা সমিতির সাংগাঠনিক কাঠামো

মুক্তাত্মা সমিতি ৩টি পরস্পরনির্ভরশীল পরিষদের সমন্বয়ে গঠিত। যথা_
(১) সাধারণ পরিষদ: মুক্তাত্মা সমিতির সকল সাধারণ সদস্য ও স্থায়ী সদস্যদের নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। সমিতির গঠনতন্ত্রসহ সকল আইনকানুন সাধারণ পরিষদের ২/৩অংশ ভোটে অনুমোদনপূর্বক অভিভাবক পরিষদের সকল সদস্যের অনুসর্মথনের মাধ্যমে প্রণীত হয়।

(২) অভিভাবক পরিষদ: মুক্তাত্মা সমিতির সকল স্থায়ী সদস্যকে নিয়ে এই পরিষদ গঠিত।

(৩) উন্নয়ন পরিষদ: এই পরিষদের পরিচালনায় মুক্তাত্মা সমিতির গঠনতন্ত্রে্ উল্লিখিত বিষয়সমূহে পারস্পারিক সহযোগিতার নিমিত্তে নিম্নোক্ত কমিটিসমূহ গঠিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়:
(ক) অধ্যয়ন কমিটি
    (খ) গবেষণা সহযোগিতা কমিটি
   (গ) ইনডিপেনডেন্ট বাংলা প্রকাশনা কমিটি (এই কমিটির তত্ত্বাবধানে ‘ইনডিপেনডেন্ট বাংলা’ নামক অনলাইন সাময়িকী প্রকাশিত হয়। )
    (ঘ) সাধারণ উন্নয়ন কমিটি (বিবিধ বিষয়াবলি দেখাশোনার জন্য)

 

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial