ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চায় ঢাবি ছাত্র নাজমুল

মরণঘাতী ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রাসেল। ফুসফুস ক্যান্সারের চতুর্থ ধাপে গিয়ে ধরে পড়েছে তাঁর ক্যান্সার।

দীর্ঘ কয়েকমাস যাবত ডজনখানেক টেস্ট ডায়াগনোসিস করা যাচ্ছিল না তাঁর ক্যান্সার। এমনকি FNAC, FOB টেস্ট করেও সন্দেহমূলক সেলের উপস্থিতি ব্যতীত বেশি কিছু চিহ্নিত করা যায়নি দেশের হাসপাতালগুলোতে। অবশেষে ভারতের চেন্নাইতে অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণীত হয় তাঁর ফুসফুস ক্যান্সার। ক্যান্সার সেল ফুসফুসের বাইরেও সামান্য ছড়িয়ে গেছে। এমতাবস্থায়, চেন্নাইতেই তার প্রথম কেমোথেরাপি দেওয়া হয় গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে। এরপরে আরো ৩টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয় ঢাকার ডেল্টা হাসপাতালে। ভারতীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ: দেশে ৩টি কেমোথেরাপি দিয়ে আবার নিয়ে যেতে হবে চেন্নাইতে, অ্যাপোলো হাসপাতালে।

এযাবৎকালে নাজমুলের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।  এ টাকা জোগাড় করতে গিয়ে গভীর সঙ্কটে পড়েছে তাঁর পরিবার।  সন্তানের জীবনের জন্য মোটা অঙ্কের ‍ঋণের দায়ে জর্জরিত  হয়েছেন নাজমুলের অশীতিপর বৃদ্ধ কৃষক পিতা।

নম্র স্বভাবের লাজুক ছেলে নাজমুল দীর্ঘদিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে একা। তাঁর বন্ধু-বান্ধব বিষয়টা জানতে পেরেছে অনেক পরে, তার অন্তিম পর্যায়ে।

এ মূহুর্তে তাঁর চিকিৎসা-বাবদ দরকার আরো প্রায় ৩০-৪০ লক্ষ টাকা। এটাকা জোগাড় করবার সাধ্যি আর তার পরিবারের কি আর আছে?

সাহায্যের আহ্বান:
আমার-আপনার এতোটুকু সাহায্য জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে নাজমুলকে।

নাজমুল

 

 


নাজমুলের অনন্য পরিচিতি: 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সদ্য-প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রাসেল একজন দক্ষ ফুটবলার,  সৎ ছাত্রনেতা, সদা-হাসিখুশি মিশুক একজন মানুষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল টিম এবং বাস্কেটবল টিমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নাজমুল। এ দুই খেলায়,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিম, স্যার এ এফ রহমান হল টিম কিংবা ক্রিমিনোলজি বিভাগ টিম কোনোটাই যেন পূর্ণ হয় না নাজমুলকে ছাড়া। তাঁর বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের আকুতি: ফুটবল টিমে আবার ফিরে আসুক নাজমুল। পূর্ণতা পাক তাদের বান্ধব বলয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা ছিলেন নাজমুল। সংগঠনটির স্যার এ এফ রহমান হল ইউনিটে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে ‘সহ-সম্পাদক’ পদে কাজ করেছেন তিনি।

প্রাণবন্ত-উচ্ছ্বল তরঙ্গের ঢেউয়ের মত প্রবহমান তাঁর জীবন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন, তাঁর জীবনপ্রবাহ আবারো আগের মত উদ্বেল হয়ে উঠুক_ এই প্রার্থনা হোক আমাদের সকলের।

author

সম্পাদকীয় বিভাগ

ইনডিপেনডেন্ট বাংলা সম্পাদনা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদন।

এই ধরণের আরো...

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial